হাস্যরস গল্প
হাস্যরসের গল্প পড়তে সবারই ভালো লাগে। এখানে কয়েকটি মজার ছোট হাস্যরসাত্মক গল্প দেয়া হল:
১. বুদ্ধিমান ছাত্র
শিক্ষক: বলো তো, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্ত বস্তু কী?
রাহুল: স্যার, পরীক্ষা চলাকালে সময়!
শিক্ষক: (হাসতে হাসতে) কেন?
রাহুল: কারণ তখন একেক মিনিট একেক ঘন্টার মতো লাগে!
২. বুদ্ধির জোর
মা বললেন, "রাহিম, এক কাজ করে দে তো। দোকান থেকে এক কেজি চিনির সাথে যদি ডিম থাকে, চারটে ডিমও এনে দিস।"
রাহিম দোকানে গেল, ফিরে এলো হাতে চিনির প্যাকেট আর চারটে ডিম।
মা: বাহ! ডিম তো আনলি, দোকানে তাহলে ডিম ছিল?
রাহিম: না মা, ছিল না। আমি নিজের পকেট মানি দিয়ে কিনেছি!
৩. অতিরিক্ত স্মার্টনেস
শিক্ষক ক্লাসে প্রশ্ন করলেন: "আকাশে পাখি উড়ে কেন?"
ছাত্র উত্তর দিল: "কারণ হাঁটা তাদের কম পছন্দ।"
শিক্ষক আর কিছু বলতে পারলেন না, শুধু মাথা নেড়ে হাসলেন।
৪. পড়ার অদ্ভুত পদ্ধতি
বাবা: রাত জেগে পড়ছিস কেন?
ছেলে: বাবা, পরীক্ষার বইগুলো রাতেই ভালো ঘুমায়, দিনে নাকি বেশি ব্যস্ত থাকে। তাই রাতেই পড়ছি!
বাবা: (হেসে কাঁদা অবস্থা)
৫. বুঝদার ছেলে
শিক্ষক: বলো তো, সবচেয়ে পরিষ্কার নদী কোনটি?
ছাত্র: স্বপ্নের নদী।
শিক্ষক: কেন?
ছাত্র: কারণ, ওটা শুধু চোখের মধ্যে দেখা যায়, ময়লা যাওয়ার সুযোগই নেই!
৬. ভূতের ভয়
রাতের বেলা বাবাকে জড়িয়ে ধরে ছেলে বলল:
ছেলে: বাবা, ভয় লাগছে! বিছানার নিচে ভূত আছে।
বাবা: আরে পাগল! ভূত যদি থাকতো, এই খাট তোর মতো মোটা ছেলের ওজনেই ভেঙে যেত!
৭. দুধ কেনা
মা বললেন: "বাজার থেকে এক লিটার দুধ এনে দে। যদি ডিম থাকে, তাহলে ছয়টা ডিমও আনবি।"
ছেলে বাজারে গিয়ে ফিরে এল ছয় লিটার দুধ নিয়ে।
মা: এটা কী করলি?
ছেলে: দোকানে ডিম ছিল, তাই ছয় লিটার দুধ এনেছি!
৮. অসংখ্য উত্তর
শিক্ষক: বলো তো, গাছ কেন নড়ে?
ছাত্র: কারণ বাতাস বইছে।
শিক্ষক: যদি বাতাস না বইত?
ছাত্র: তাহলে শিক্ষক গাছকে ধাক্কা দিয়ে নড়াতেন!
৯. রাতের পড়া
মা: তুই সারাদিন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকিস, পড়বি কখন?
ছেলে: মা, বিজ্ঞান বলে রাতের নীরবতাই পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। আমি বিজ্ঞান মেনে চলছি!
মা: হুম, মোবাইল রাখ! নইলে বিজ্ঞানকেও মারব!
১০. অভিনব দোয়া
শিক্ষক: পরীক্ষার আগে কী করো তোমরা?
ছাত্র: দোয়া করি স্যার।
শিক্ষক: কী দোয়া করো?
ছাত্র: যেন প্রশ্নপত্র আমার পড়া অংশ থেকেই আসে!
শিক্ষক: আর যদি না আসে?
ছাত্র: তাহলে দোয়া করি, যেন শিক্ষক আমাদের মাফ করে দেন!
১১. পড়াশোনার সিস্টেম
বাবা: তুই পরীক্ষার আগে কোনো দিন পড়িস না, তবুও পাশ করিস কিভাবে?
ছেলে: সহজ! প্রশ্নপত্র দেখে টের পাই — প্রশ্নও পড়াশোনা না করে এসেছে!
১২. কাউকে ঠকানো যায় না
রাহিম দোকানে গেল।
রাহিম: আঙ্কেল, এক কেজি চিনি দিন।
দোকানি চিনির ওজন কম দিয়ে দিল।
রাহিম ওজন মেপে বলল: আঙ্কেল, এটা তো ৮০০ গ্রাম!
দোকানি বলল: বাচ্চারা এত ওজন মাপে কেন?
রাহিম: কেননা, মায়ের কাছে আমাকেই কিল খেতে হবে যদি কম থাকে!
১৩. ভুলবোঝাবুঝি
শিক্ষক: বলো তো, নদী কোথায় বয়?
ছাত্র: নদী বয়… জলে!
শিক্ষক: (হতবাক হয়ে) বাছা, নদী নিজেই জল, বয়ে চলে!
ছাত্র: তাইতো স্যার, আমি ভাবছিলাম, কে কাকে বইছে!
১৪. বিশেষ উপদেশ
মা বললেন: বাইরে গরম, রোদে বেশি ঘুরবি না।
ছেলে: ঠিক আছে মা।
দেখা গেল ছেলে ছাতা মাথায় দিয়ে সারা মাঠে দৌড়াচ্ছে!
মা: কী করছিস?
ছেলে: মা, তুমি তো বলছিলে রোদে না ঘুরতে, আমি তো ছাতার নিচে আছি!
১৫. চুরি ধরা
রাতের বেলা ছোট ভাই দৌড়ে এসে বলল, "ভাইয়া ভাইয়া, তোমার মোবাইল আমি খুঁজে পেয়েছি!"
আমি অবাক হয়ে বললাম, "কোথায় ছিল?"
সে মাথা নিচু করে বলল, "আমার পকেটে… ভুল করে রেখে দিয়েছিলাম।"